Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইউপি মেনুয়াল

 

ইউপি মেনুয়াল

 

দ্বিতীয় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট এলজিএসপিঃ২

ইউনিয়ন পরিষদ অপারেশনাল ম্যানুয়েল প্রশিক্ষণের জন্য সংক্ষিপ্ত নির্দেশিকা

স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

মডিউল-১ এলজিএসপিঃ২ এর পরিচিতি ও কর্মপদ্ধতি

এলজিএসপি’র উদ্দেশ্য

এলজিএসপি-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সুশাসন নিশ্চিত করা। এ প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদকে সরাসরি থোক বরাদ্দ প্রদান করা ছাড়াও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, স্থানীয় পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, নতুন ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা এবং জাতীয় পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ বান্ধব নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র বিমোচন, জনঅংশগ্রহণের মাধ্যমে স্থানীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং তৃণমূল পর্যায়ে অংশীদারিত্বমূলক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য এলজিএসপি প্রকল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। উদ্দেশ্য হচ্ছে এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী ও জনঅংশগ্রহণমূলক দক্ষ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।

  • দ্বিতীয় এলজিএসপি’র অঙ্গসমূহ
  • ১. ইউনিয়ন পরিষদ অনুদানসমূহ 
    • ক্স মৌলিক থোক বরাদ্দ (ইইএ)
    • ক্স দক্ষতা ভিত্তিক বরাদ্দ (চইএ)
  • ২. তথ্য প্রবাহ এবং জবাবদিহিতা
  • ৩. প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন (দক্ষতা)
  • ৪. প্রকল্প ব্যবস্থাপনা

মৌলিক থোক বরাদ্দ (ইইএ) নির্ধারণ ও বিতরণ

  • মৌলিক থোক বরাদ্দের ২৫% অর্থ সকল ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সমহারে বিতরণ করা হবে।
  • অবশিষ্ট ৭৫ ভাগ অর্থ, ইউনিয়ন পরিষদের জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে ৯০% এবং আয়তনের উপর ভিত্তি করে ১০% বরাদ্দ নির্ধারণ করা হবে।
  • স্থানীয় সরকার বিভাগ মৌলিক থোক বরাদ্দের (বিবিজি) অর্থ দুই কিস্তিতে প্রদান করবে যা প্রতি বছরের আগষ্ট-সেপ্টেম্বর এবং ফেব্র“য়ারি-মার্চ মাসে সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
  • মৌলিক থোক বরাদ্দ (ইইএ) ও দক্ষতা ভিত্তিক বরাদ্দ (চইএ) এর অন্তত ৩০% অর্থ নারীদের দ্বারা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত স্কিম বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় করতে হবে।
  • মৌলিক থোক বরাদ্দ (ইইএ) ও দক্ষতা ভিত্তিক বরাদ্দ (চইএ)-এর সর্বোচ্চ ১০% অর্থ সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজে প্রধানত স্কিম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা, সুরক্ষা ব্যবস্থাসমূহ, হিসাবরক্ষণ, ইউনিয়ন পর্যায়ের তথ্যাদি কম্পিউটারে এন্ট্রি ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া মহিলা উন্নয়ন ফোরামকে সহায়তা প্রদান, প্রশিক্ষণ, পারস্পরিক শিখন এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধি সহায়তায় ব্যয় করা যাবে। ১০% অর্থ উল্লিখিত ক্ষেত্রে ব্যয় না হলে স্কিম বাস্তবায়নে ব্যয় করা যাবে।

মৌলিক থোক বরাদ্দ স্কিমে প্রবেশের জন্য প্রাথমিক যোগ্যতা নির্ধারণের মাপকাঠি

যোগ্যতার মাপকাঠি সূচক প্রয়োজনীয় দলিলাদি
১. পূর্ববর্তী আর্থিক বছরের আপত্তিহীন অডিট প্রতিবেদন নিরপেক্ষ অডিট প্রতিষ্ঠান দ্বারা অডিট সম্পন্নকরণ এবং আর্থিক অনিয়মবিহীন অডিট প্রতিবেদন ইউনিয়ন পরিষদের অডিট প্রতিবেদন
২. পরবর্তী আর্থিক বছরের বার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেট জনসাধারণের অংশগ্রহণে ওয়ার্ড সভায় পরিকল্পনা প্রণয়ন জনসাধারণের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত বাজেট সভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত বাৎসরিক বাজেট অংশগ্রহণকারীদের স্বাক্ষরসহ ওয়ার্ড সভার কার্যবিবরণী উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশনের স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণী/হাজিরা বই এবং বার্ষিক বাজেটের অনুলিপি
৩. সময়মত ষান্মারিক রিপোর্ট প্রদান ৩১ জুলাই এবং ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে প্রতিবেদন জমা করণ যে সকল ইউনিয়ন পরিষদ উপরোল্লেখিত যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হবে তারা মৌলিক থোক বরাদ্দের শুধুমাত্র ২৫% বরাদ্দ পাবে।
Table

দক্ষতা ভিত্তিক অনুদান (পিবিজি)

  • মৌলিক থোক বরাদ্দ প্রাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদসমূহের সার্বিক দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহ প্রদানের জন্য দক্ষতা ভিত্তিক বরাদ্দ প্রদান করা হবে। আর্থিক ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক, যেমন- রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, রাজস্ব আদায়ের হার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, জনগণের অংশগ্রহণ, পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন এবং প্রতিবেদন ইত্যাদি বিষয়ে যে সকল ইউনিয়ন পরিষদ দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারবে তাদেরকে এই বরাদ্দ প্রদান করা হবে। প্রকল্পের দ্বিতীয় বছর থেকে দক্ষতা ভিত্তিক বরাদ্দ প্রদান শুরু হবে।
  • দক্ষতার মানের উপর ভিত্তি করে জেলা পর্যায়ে প্রথম সারির ৭৫% ইউনিয়ন পরিষদকে তিনটি ভাগে ভাগ করে এই বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
  • দক্ষতার মানের দিক থেকে প্রথম ২৫% ইউনিয়ন পরিষদ তাদের প্রাপ্য মৌলিক থোক বরাদ্দের অতিরিক্ত ৩০% অর্থ পাবে।
  • পরবর্তী ২৫% ইউনিয়ন পরিষদ তাদের প্রাপ্য মৌলিক থোক বরাদ্দের অতিরিক্ত ২০% অর্থ পাবে।
  • তৎপরবর্তী ২৫% ইউনিয়ন পরিষদ তাদের প্রাপ্য মৌলিক থোক বরাদ্দের অতিরিক্ত ১০% অর্থ পাবে।
  • প্রকল্পের ৩য় বছরে একটি মধ্যবর্তী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। মধ্যবর্তী মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী বছরগুলোতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

থোক বরাদ্দ বিলম্ব/স্থগিত হবার কারণ

কারণসমূহ ফলাফল
বার্ষিক অডিট না করানো পরবর্তী অর্থবছরে মোৗলিক থোক বরাদ্দ প্রদান স্থগিত থাকবে
বিরূপ বা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানে ব্যর্থতার জন্য অডিট আপত্তি (১) তদন্ত নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত থোক বরাদ্দ স্থগিত থাকবে। (২) চূড়ান্ত অডিট ফলাফলের উপর ভিত্তি করে যথাযথ দেওয়ানি এবং ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ (বাংলাদেশ সরকারের আইনানুসারে) । (৩) জড়িত ব্যক্তি কর্তৃক স্থানীয় সরকার বিভাগকে নিয়মানুসারে আতœসাৎকৃত অর্থ ফেরত প্রদান করতে পারে। (৪) স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক জড়িত ইউনিয়ন পরিষদসমূহের নাম জাতীয় প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করা হতে পারে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগ: (ক) এলজিএসপি থেকে অর্থ আত্মসাৎ এ জড়িত ইউনিয়ন পরিষদকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারে। (খ) অডিট রিপোর্টে চিহ্নিত ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিনিধি /কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারে।
পূর্নাঙ্গ ষাম্মাসিক প্রতিবেদন প্রদানে ব্যর্থতা ইউনিয়ন পরিষদকে মৌলিক থোক বরাদ্দ প্রদানে বিলম্ব।
পরিবেশগত এবং সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো প্রয়োগে ব্যর্থতা (এটি নূন্যতম যোগ্যতা নয় তবে এটি একটি বাধা হিসাবে বিবেচিত হবে)। পরবর্তী বছরের জন্য মৌলিক থোক বরাদ্দ প্রদান করা হবে না এবং সীমা লঙ্ঘনের মাত্রার উপর ভিত্তি করে থোক বরাদ্ধ প্রদান স্থগিতকরণ।

এলজিএসপি’র দক্ষতা মূল্যায়ন সূচকসমূহ

দক্ষতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রসমূহ সূচকসমূহ সর্বোচ্চ স্কোর
১.পরিকল্পনা ও বাজেট পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ( ত্রিবার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সহ)
৩১মে এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চুডান্ত বাজেট ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেরণ
বছর শেষে উন্নয়ন বাজেটের তুলনায় প্রকৃত উন্নয়ন ব্যয় (ব্যয়ের হার)
২.আর্থিক বিষয়াবলী (ব্যয়, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ক্রয় এবং প্রতিবেদন) সম্পদের রেজিষ্টার প্রস্তুতশরণ/প্রতিটি সম্পদ চিহ্নিতকরণ
৩১ জুলাই এর মধ্যে বার্ষিক হিসাব বিবরনী প্রস্তুত ও যথাযথ স্থানে প্রেরন
মাসিক ব্যাংক হিসাব সমন্বয়
ক্রয়নীতিমালা অনুসরণ করে ৩১ শে জুলাই এর মধ্যে ক্রয় পরিকল্পনা প্রস্তুত করন।
অডিট আপত্তির নিষ্পত্তি করণ
৩. নিজস্ব রাজস্ব আহরণ পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় বর্ধিত রাজস্ব আদায়ের হার
পূর্ববর্তী বছরে পরিকল্পিত নিজস্ব রাজম্ব আয়ের তুলনায় প্রকৃত রাজস্ব আয়ের পরিমাণ
৪. পরিবীক্ষণ, পর্যবেক্ষণ , স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জনসাধারণের অবগতির জন্য বার্ষিক আর্থিক বিবরণী, অডিট প্রতিবেদন ও বার্ষিক বাজেট জনসম্মুখে প্রকাশ করা
৫. গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুসরণে নিয়মিতভাবে গ্রাম আদালত পরিচালনা করা ।
  মোট ৩০

অডিট

  • প্রতি বছরের আগষ্ট-ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদসমূহকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হবে।
  • দ্বিতীয় এলজিএসপিতে অন্তর্ভুক্তির পরবর্তী বছর থেকে অডিট ফার্মসমূহ ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক অডিটের সাথে ইউনিয়ন পরিষদসমূহ সামাজিক এবং পরিবেশগত সুরক্ষা মান বজায় রেখেছে কিনা, ক্রয় সংক্রান্ত পদ্ধতি যথাযথভাবে পালন করেছে কিনা, উম্মুক্ত সভা অনুষ্ঠান এবং যথাযথভাবে জনসাধারণের জন্য তথ্য উম্মুক্ত করেছে কি না, এই বিষয়সমূহ যাচাই করবে এবং প্রতিবেদনে উল্লেখ করবে।
  • ইউনিয়ন পরিষদের জন্য নিয়োজিত অডিট ফার্ম অডিটের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
  • প্রকল্পের চতুর্থ বছর থেকে ইউনিয়ন পরিষদসমূহ স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক স্বীকৃত অডিট ফার্ম নিয়োগ করে স্থানীয়ভাবে অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে।
  • ইউনিয়ন পরিষদ অডিটরদেরকে বার্ষিক আর্থিক বিবরণী প্রদান করবে এবং অডিটরগণ যে সকল তথ্য চাইবে (যেমন: ক্যাশ বই, হিসাবের বই, ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য, ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পরিষদের সভাসমূহের কার্যবিবরণী, ওয়ার্ড কমিটির বিভিন্ন তথ্য ইত্যাদি), তা সরবরাহ করবে।
  • অডিটরগণ প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, ওয়ার্ড কমিটি/স্কিম তত্ত্বাবধান কমিটি এবং জনসাধারণের সাথে আলোচনা করতে পারবে।
  • অডিট প্রতিবেদন চূড়ান্তকরণের পূর্বে অডিটরগণ ইউনিয়ন পরিষদের সাথে অডিট পর্যবেক্ষণ ফলাফল নিয়ে আলোচনা করবে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথেও অডিটরগণ এই ধরণের আলোচনা করবে।
  • চূড়ান্ত অডিট প্রতিবেদনের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদক প্রদান করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব একটি বিজ্ঞপ্তি দ্বারা জনসাধারণকে অডিট প্রতিবেদনের প্রাপ্যতা সম্পর্কে অবহিত করবে।
  • ইউনিয়ন পরিষদ জনসাধারণের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করবে।

অডিট মতামতের বিরুদ্ধে আপিল পদ্ধতি

  • অডিট মতামতের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে ৩০ দিনের মধ্যে ইউনয়ন পরিষদকে আপিলের আবেদনসহ সকল সহায়ক নথিপত্র স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে হবে। আবেদনের কপি উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পাঠাতে হবে।
  • আপিলের উপর ভিত্তি করে মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
  • উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার এর প্রতিবেদন, এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট তথ্য/উপাত্ত (প্রয়োজন হলে অডিট রিভিউ ফার্মের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে) এর উপর ভিত্তি করে আপিল গ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদকে আপিলের চূড়ান্ত ফলাফল জানানো হবে।
  • যদি আপিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিরূপ অডিট মতামত পরিবর্তন হয়, তবে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ পরবর্তী বছরের জন্য মৌলিক থোক বরাদ্দ প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবে এবং ঐ ইউনিয়নের জন্য অতিরিক্ত অডিটের প্রয়োজন হবে না।

*উল্লেখ্য যে, ইউনিয়ন পরিষদ অবশ্যই অডিট কার্যক্রম সমাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে সকল ধরণের অডিট আপত্তির নিষ্পত্তি করবে।

প্রাতিষ্ঠানিক এবং বাস্তবায়ন ব্যবস্থা জাতীয় পর্যায়: প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি

  • প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি থাকবে।
  • নীয় সরকার বিভাগের সচিব পদাধিকারবলে উক্ত কমিটির সভাপতি হবেন।
  • জাতীয় পর্যায়ে এলজিএসপিঃ২ বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব জাতীয় প্রকল্প পরিচালকের (এনপিডি) দায়িত্ব পালন করবেন।
  • স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব/ উপ সচিব (ইউপি / অডিট/ মনিটরিং ও মূল্যায়ন) প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট হিসাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে সহায়তা করবেন।
  • বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব পর্যায়ের দুই জন কর্মকর্তা উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) হিসেবে জাতীয় প্রকল্প পরিচালককে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করবেন।
  • জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি), রুরাল ডেভেলাপমেন্ট একাডেমেী (আরডিএ) ও বাংলাদেশ একাডেমী ফর রুরাল ডেভেলাপমেন্ট (বার্ড) দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয় সাধন করবে।

জেলা সমন্বয় কমিটির কাঠামো (ডিসিসি)

জেলা প্রশাসক সভাপতি
জেলার সকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদস্য
জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদস্য
প্রতি উপজেলা থেকে পর্যায়ক্রমে একজন করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সদস্য
প্রতি উপজেলা থেকে পর্যায়ক্রমে একজন করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সদস্য
প্রতি উপজেলা থেকে পর্যায়ক্রমে একজন করে ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য সদস্য
জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের প্রধান সদস্য
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি (৩-৫ জন) সদস্য
উপপরিচালক স্থানীয় সরকার সদস্য সচিব

জেলা সমন্বয় কমিটি’র (ডিসিসি) কার্যাবলী

  • উপপরিচালক স্থানীয় সরকার প্রদত্ত ষাম্মাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ
  • থোক বরাদ্দের অধীন স্কিম/সেবা চিহ্নিতকরণ, প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে প্রয়োজন অনুযায়ী দিকনিদের্শনা ও পরামর্শ প্রদান
  • জেলা পর্যায়ে অভিযোগ নিঃষ্পত্তিকরণ পদ্ধতির ব্যবস্থাপনা ও তদারকীকরণ
  • ইউনিয়ন পরিষদ বা বিজিসিসি এর কোন সিদ্ধান্ত/কার্যক্রম যা ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনা অথবা থোক বরাদ্দ ব্যবহারের বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত এমন কোন বিষয়ে স্থানীয় জনগণ, ঠিকাদার/দরপত্রদাতা অথবা কোন গ্রুপ কর্তৃক উত্থাপিত কোন অভিযোগ/আপত্তির বিষয়ে আলোচনা করা।
  • উপপরিচালক স্থানীয় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অগ্রগতি ও মনিটরিং প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য অংশসমূহ পর্যালোচনা করা এবং ইউনিয়ন পরিষদ অপারেশনাল ম্যানুয়েল ও স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ
  • ইউনিয়ন পরিষদসমূহকে সময় মতো সহায়তা দেয়ার জন্য উপজেলা পর্যায়ে সরকারী বিভাগসমূহকে নির্দেশনা প্রদান
  • এলজিএসপিঃ২ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম; যেমন দক্ষতা বৃদ্ধি, নিরীক্ষণ প্রভৃতির সমন্বয় সাধন।

উপজেলা পর্যায়ে সাধন

উপজেলা থোক বরাদ্দ কমিটি (বিজিসিসি) গঠন

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি
উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সদস্য
ইউনিয়ন পরিষদ থোক বরাদ্দের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনাকারী মহিলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সদস্য
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোনীত উপজেলা রিসোর্স টীমের (ইউআরটি) কয়েকজন সদস্য সদস্য
সহকারি প্রকৌশলী, এলজিইডি সদস্য সচিব

* উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার আমন্ত্রণ ক্রমে বিজিসিসি সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

বিজিসিসির কার্যাবলি

বিজিসিসি নিম্মলিখিত বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদসমূহকে পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করবে

  • ৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন;
  • দ্বৈততা পরিহারের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক পেশকৃত স্কিম তালিকা পর্যালোচনা করে মতামত প্রদান;
  • স্কিমের কারিগরী ও আর্থিক সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন;
  • বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে mgš^q ও তাদের সহায়তা নিশ্চিতকরণ;
  • ইউনিয়ন পরিষদসমূহের মধ্যে এবং উপজেলার সঙ্গে তথ্য বিনিময় নিশ্চিতকরণ;
  • উপজেলা পরিষদ বা অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে পরিকল্পিত বা বাস্তবায়িত স্কিমের ক্ষেত্রে অভিন্ন/অনুরূপ না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতকরণ;
  • সামাজিক ও পরিবেশগত দিক থেকে যথাযথ সতর্কতা Aej¤^b এবং সামাজিক ও পরিবেশগত সুরক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ নিশ্চিতকরণ;
  • বাজেট ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা;
  • উপজেলা পর্যায়ে mgš^q ও/অথবা হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে এমন বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
  • ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলাসমূহের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পারস্পরিক শিখন কার্যক্রমের mgš^q ও সহায়তা প্রদান;
  • প্রকল্পের চতুর্থ বছরে ¯^xK…Z প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নিরীক্ষা-প্রতিষ্ঠান বেছে নেয়া এবং নিরীক্ষাসহ দক্ষতা মূল্যায়ন সূচকসমূহের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতার মান উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ।

উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার

  • উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করবেন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন;
  • জেলা পর্যায়ের প্রতিবেদন প্রণয়ন করবেন;
  • প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য প্রেরিত তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন;
  • ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক দাখিলকৃত পরিকল্পনাসমূহ পর্যালোচনা ও মতামত প্রদানের জন্য বিজিসিসিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান;
  • বিজিসিসি’র মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং নিয়মিত সভা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করবেন;
  • পরিকল্পানা অনুযায়ী অডিট কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন;
  • জেলা mgš^q  কমিটি এর সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ।

ডিষ্টিক্ট ফ্যাসিলিটেটর (ডিএফ)

  • প্রতি জেলায় একজন ডিএফ দায়িত্ব পালন করবেন। তবে কোন জেলায় ১০০ এর অধিক ইউনিয়ন পরিষদ থাকলে ২ জন ডিএফ দায়িত্ব পালন করবেন।
  • দ্বিতীয় এলজিএসপি বাস্তবায়নে নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার, বিজিসিসি ও ইউনিয়ন পরিষদকে ডিএফ সহায়তা প্রদান করবেন;
  • উপপরিচালক স্থানীয় সরকার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের মনিটরিং ও তদারকী কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করবেন;
  • দ্বিতীয় এলজিএসপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য জেলা mgš^q কমিটির সভা অনুষ্ঠানে উপপরিচালক স্থানীয় সরকারকে সহায়তা প্রদান করবেন;
  • উপজেলা রিসোর্স টিম কর্তৃক প্রদত্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ আয়োজন এবং পারস্পরিক শিখন কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করবেন;
  • দ্বিতীয় এলজিএসপি বাস্তবায়নের ত্রুটিসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তা সংশোধনে ইউনিয়ন পরিষদকে পরামর্শ প্রদান করবেন;
  • ইউনিয়ন পরিষদসমূহ যাতে কারিগরি বিভাগসমূহের সহায়তা পায় সেজন্য উপপরিচালক স্থানীয় সরকার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সহায়তা প্রদান করবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর ভূমিকা

  • উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বিতীয় এলজিএসপি’র বাস্তবায়ন কাজ তদারকি করবেন;
  • উপজেলা কারিগরি বিভাগ কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়োজন অনুযায়ী কারিগরি সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন;
  • উপজেলা পরিষদ সভায় দ্বিতীয় এলজিএসপি’র বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন;
  • সভাপতি হিসেবে প্রতি তিন মাস অন্তর বিজিসিসি এর সভা পরিচালনা করবেন;
  • প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করাসহ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী ইউনিয়নসমূহের মধ্যে ভাল অভিজ্ঞতাসমূহ বিনিময় নিশ্চিত করবেন;
  • ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক দাখিলকৃত পরিকল্পনা/বাজেটসমূহ পর্যালোচনা করে মতামত প্রদান করবেন;
  • এলজিএসপিঃ২-এর অধীন যে কোন ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কমিটির আপত্তি/দ্বন্দ প্রশমনে সহায়তা করবেন;
  • দ্বিতীয় এলজিএসপি’র কার্যক্রম তদারকি এবং জেলা ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন;
  • উপজেলা রিসোর্স টিমের প্রধান হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করবেন।

ইউনিয়ন পরিষদ হেল্প লাইন (UP Help Line)

  • ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিনিধি/ কর্মকর্তা, প্রকল্পের সকল অংশীদার এবং জনসাধারণকে সার্বক্ষণিকভাবে বিভিন্ন তথ্য প্রদানের জন্য একটি ইউনিয়ন পরিষদ হেল্প লাইন প্রতিষ্ঠা করা হবে।
  • যে কোন ব্যক্তি একটি বিশেষ b¤^‡i মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই সহায়তা কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ও এর প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন।

জন সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান

  • প্রতি আর্থিক বছরের শুরুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত তথ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সার্বিক সচেতনতা/আই ই সি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
  • এ ধরণের প্রচারাভিযান কার্যক্রমের মাধ্যমে সংশ্লি­ষ্ট সকল পক্ষকে (স্থানীয় জনসাধারণ, সুশীল সমাজ, ইউনিয়ন পরিষদ এবং স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী) মৌলিক তথ্যাদি প্রদান করা হবে।

মডিউল-২ অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা

অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা

পরিকল্পনা

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদকে জন অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় পঞ্চবার্ষিক ও অন্যান্য বিভিন্ন মেয়াদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ওয়ার্ড সভাসমূহ কর্তৃক পরিকল্পনা সভা আয়োজন করে স্থানীয় জনসাধারণ সমস্যাসমূহ চিহ্নিত ও অগ্রাধিকার নিরূপণ করবে এবং পরিকল্পনায় সেগুলো অন্তর্ভুক্ত হবে। ইউনিয়ন পরিষদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সম্ভাব্য বাজেট এবং প্রজেক্ট বাস্তবায়নের সময়সীমা উল্লেখ থাকবে। পরিকল্পনা অবশ্যই ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব আয় এবং অন্যান্য সম্ভাব্য সকল আয়ের উৎসের উপর ভিত্তি করে প্রণীত হবে।

পরিকল্পনার নীতিসমূহ

পরিকল্পনার নীতিসমূহ

সাধারণত জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং জনগণের প্রয়োজনের অগ্রাধিকার বিবেচনা করে ইউনিয়ন পরিষদ স্কিম বাস্তবায়ন এবং সেবা প্রদান করে। ইউনিয়ন পরিষদের পরিকল্পনা জাতীয় পরিকল্পনার অংশ। স্থানীয় চাহিদা, জনগণের প্রয়োজনের অগ্রাধিকার, সম্পদের প্রাপ্যতা, কারিগরি দক্ষতা, দারিদ্র হ্রাস এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনার ভিত্তিতে স্কিম নির্বাচন ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এ বর্ণিত কার্যাবলি এবং নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদ সেবা প্রদান এবং স্কিম গ্রহণ করবে:

  • স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সময় সমগ্র ইউনিয়নকে একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
  • স্কিম গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ওয়ার্ড অথবা সমগ্র ইউনিয়নের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কল্যাণ ও সেবার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে।
  • নির্বাচিত স্কিম ও সেবাসমূহ দ্রুত সফল করবে এবং পল্লী এলাকায় দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়ক হবে।
  • স্কিম ও সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণের সময় কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিশেষ করে নারী এবং দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
  • স্কিম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদের অংশীদার হতে পারে।
  • একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ তাদের সাধারণ ¯^v‡_© যৌথভাবে স্কিম বাস্তবায়ন করতে পারবে।
  • স্কিম নির্বাচন এবং সম্পদ সংগ্রহের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্র্যায়ে জন অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইউনিয়ন ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে।
  • স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ পরিবেশ সংরক্ষণ, Rb¯^v¯’¨, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করবে। স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সময় এমন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করবে না যার ফলে পরিবেশ বিপন্ন হয়, মানুষকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হতে হয়, মানুষের জীবিকার পথ রুদ্ধ হয় অথবা অন্য কোনো নেতিবাচক সামাজিক প্রভাব পড়ে।
  • বিভিন্ন উৎস এবং নিজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদ যে স্কিম বাস্তবায়ন করবে তা নির্বাচন করবে ইউনিয়ন পরিষদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অথবা অন্যান্য মেয়াদি পরিকল্পনা থেকে যা গ্রহণ করা হয়েছে জন অংশগ্রহণের ভিত্তিতে।
  • স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯- এ যে কার্যাবলি ও দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদকে প্রদান করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য এলজিএসপি:২- এর মৌলিক থোক বরাদ্দ অথবা দক্ষতা ভিত্তিক থোক বরাদ্দ ব্যবহার করা যাবে।

নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে এলজিএসপি:২-এর অর্থ ব্যয় করা যাবে না

  1. ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য কিংবা কর্মীদের বেতন, মজুরি কিংবা অন্য কোনো সুবিধা দেওয়া।
  2. ক্ষুদ্র অর্থায়নসহ কোনো অর্থনৈতিক সেবা যেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসার উদ্যোগে ঋণ সরবরাহ করা হয়।
  3. এমন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না, যার নেতিবাচক পরিবেশগত/সামাজিক প্রভাব আছে।
  4. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত কোনো প্রকল্পে বিবিজি/পিবিজি তহবিল থেকে অর্থায়ন করা যাবে না।
  5. ইউনিয়ন পরিষদের অবকাঠামো, দেওয়াল নির্মাণ, আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত কোনো প্রকল্পে বিবিজি/পিবিজি তহবিল থেকে অর্থায়ন করা যাবে না।

পরিকল্পনা কমিটি

প্রতিটি ইউনিয়নে পরিকল্পনা কমিটি থাকবে। ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য এর সভাপতি বা আহ্বায়ক হবেন। অন্যান্য সদস্য, ইউপি সচিব, ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তরিত সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ পরিকল্পনা কমিটির সদস্য হবেন। উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরিতে পারদর্শী বা দক্ষ কোনো ব্যক্তিকে এ কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। ইউনিয়নের পরিকল্পনা প্রস্তুত করার সময় পরিকল্পনা কমিটি নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করবে :

  • ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ ও মতবিনিময় করবে।
  • স্কিম চিহ্নিত করবে এবং এর কারিগরি দিকগুলো বিশ্লেষণ করবে।
  • পরিকল্পনা কৌশলের ছক প্রস্তুত করবে। কিভাবে পরিকল্পনা বাস্তব রূপ লাভ করবে, বিভিন্ন কমিটির ভূমিকা কি হবে, অনুমোদন প্রক্রিয়া, রেকর্ড সংরক্ষণ ইত্যাদি এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
  • স্কিমসমূহের তালিকা প্রস্তুত করবে এবং এগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার নির্ণয় করবে।

মতবিনিময় ও অগ্রাধিকার নিরূপণ

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য এটা প্রত্যাশিত যে ইউনিয়ন পরিষদ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, বার্ষিক পরিকল্পনা ও অন্যান্য মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিকল্পনা নিম্নবর্ণিত নীতিমালার আলোকে প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয়।

  • ওয়ার্ড সভার মাধ্যমে উন্মুক্ত জনসভা করে ব্যাপকভাবে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জন অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণের চাহিদা নিরূপণ ও অগ্রাধিকার নির্ণয় করা।
  • সময়মত ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন করা।
  • বৃহত্তর জনসাধারণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পরিকল্পনা ও বাজেট উন্মুক্ত করা। এলজিএসপি:২- এর ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদকে যখন ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসে বাৎসরিক মৌলিক থোক বরাদ্দ জানিয়ে দেওয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিম্নবর্ণিত কাজ করতে হবে :
    1. একটি উন্মুক্ত সভা আহ্বান করতে হবে যেখানে সকল ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় জনসাধারণ অংশ নিবেন। সেখানে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ জানিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে জন অংশগ্রহণ প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন পরিকল্পনার অগ্রাধিকার চিহ্নিত করার আহ্বান জানাবেন।
    2. ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে মৌলিক থোক বরাদ্দের পরিমাণ জনসমক্ষে টানিয়ে দিবেন এবং এ তথ্য ব্যাপক প্রচার করবেন।

ওয়ার্ড সভার সভায় ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং ইউনিয়ন পরিষদের বিগত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার বিধান রয়েছে। এতে বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে দায়ী থাকবেন। প্রত্যেক ওয়ার্ড সদস্য সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যকে নিয়ে একত্রে ওয়ার্ডসভার সভা আহ্বান করবেন এবং এলজিএসপি:২-এর বরাদ্দ এবং অন্যান্য বরাদ্দ সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করবেন। তাছাড়া পরিকল্পনার প্রক্রিয়া এবং বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। এলজিএসপি:২-এর আওতায় গঠিত ওয়ার্ড কমিটি এ সভার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। এ সভার উদ্দেশ্য হচ্ছে ওয়ার্ড পর্যায়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত এবং অগ্রাধিকার নিরূপণ, ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থাপন করা, যাতে তা ইউনিয়ন উন্নয়ন পরিকল্পনায় স্থান পায়। ওয়ার্ড সভার নোটিশ পূর্বেই জারি করতে হবে এবং স্থানীয় জনসাধারণকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করবে যাতে তারা তাদের ইউনিয়নের প্রস্তাবিত উন্নয়ন চাহিদা চিহ্নিত করতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। প্রথম বছর এবং পরবর্তী বছরসমূহে যে সকল স্কিম বাস্তবায়িত হবে তা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উল্লেখ থাকবে। দ্বিতীয় বৎসরে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সংশোধন করা হবে এবং বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণীত হবে জনগণের চাহিদা ও অগ্রাধিকার বিবেচনা করে। ওয়ার্ড সভায় ওয়ার্ড কমিটি সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে যাতে ওয়ার্ডের অধিক সংখ্যক মানুষের মতামত গ্রহণ করা সম্ভব হয় এবং সভায় উপস্থিতির পরিমাণ ওয়ার্ডের মোট ভোটার এর ৫ শতাংশের কম না হয়। ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচিত মহিলা সদস্য ঐ ওয়ার্ডের নারী সমাজের মতামত উপস্থাপন করার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। ওয়ার্ড সভার মূল সভা অনুষ্ঠানের পূর্বে কেবল মহিলাদের জন্য একটি পৃথক সভা আহ্বান করা যেতে পারে। এর পর মহিলাদের প্রস্তাব এবং অগ্রাধিকারসমূহ মহিলা সদস্য ওয়ার্ড সভার সভায় উপস্থাপন করবেন।

অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়সমূহ

ওয়ার্ড সভার প্রতিটি সভায় স্কিম প্রস্তাবসমূহ, স্কিমের অগ্রাধিকারসমূহ এবং বাস্তবায়নযোগ্য স্কিম চিহ্নিত করা হবে। অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় মোট ৫টি পর্যায় অনুসরণ করতে হবে (ক) পরিকল্পনা পর্যায়-১: ওয়ার্ড সভার প্রস্তুতিমূলক কাজ; (খ) পরিকল্পনা পর্যায়-২: প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ; (গ) পরিকল্পনা পর্যায়-৩: ওয়ার্ড সভার সভা; (ঘ) পরিকল্পনা পর্যায়-৪: ইউনিয়ন উন্নয়ন পরিকল্পনা; এবং (ঙ) পরিকল্পনা পর্যায়-৫: পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং বার্ষিক পরিকল্পনা জনসমক্ষে প্রকাশ।

পরিকল্পনা পর্যায় -১ ওয়ার্ড সভার প্রস্তুতিমূলক কাজ

  • অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের সভায় সময়সূচি নির্ধারণসহ ওয়ার্ড সভার সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
  • ওয়ার্ড সভার পরিকল্পনা অধিবেশন আয়োজনের জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা।

পরিকল্পনা পর্যায় - প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ

  • এলাকার অবস্থা এবং অধিবাসীদের জীবনযাত্রার উপর ভিত্তি করে ছোট ছোট দল দ্বারা উন্নয়ন চাহিদা নিরূপণ করতে হবে।
  • সামাজিক মানচিত্র, প্রত্যক্ষ অবলোকন, সম্পদের শ্রেণীকরণ এবং আলোচনা অধিবেশন ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করে এলাকার চাহিদা নিরূপণ করা।
  • অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে স্থানীয় চাহিদার অগ্রাধিকার নিরূপণ করার জন্য প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের ফরমেট ব্যবহার করতে হবে।
  • ছোট ছোট দলের সংগৃহীত অগ্রাধিকার বিষয়গুলোর তালিকা করার জন্য একটি ফরমেট ব্যবহার করতে হবে। অতঃপর সবগুলো একত্রিত করে ওয়ার্ড সভার সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
  • পরিকল্পনা প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি ডাটাবেইজ উন্নয়ন করা যেতে পারে।

পরিকল্পনা পর্যায় - ওয়ার্ড সভা

  • ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড কমিটিকে এ মর্মে নির্দেশ দেবে তারা যেন মাইকিং, ঢাক পিটিয়ে, লিফলেট বিতরণ করে, নোটিশ দিয়ে, আমন্ত্রণপত্র ইত্যাদির মাধ্যমে কমপক্ষে সাত দিন পূর্বে ওয়ার্ড সভার বিষয়ে প্রচারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কোরাম হওয়ার জন্য ওয়ার্ড সভায় ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যার কমপক্ষে ৫% উপস্থিত থাকতে হবে।
  • ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ার্ড সভার সভা অনুষ্ঠান নিশ্চিত করবেন এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
  • খসড়া উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনা ওয়ার্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। যে কোনো ধরনের সংযোজন, পরিবর্তন, উন্নয়ন অবশ্যই প্রকাশ্যে আলোচনা করে নির্ধারণ করতে হবে।

পরিকল্পনা পর্যায় - ইউনিয়ন উন্নয়ন পরিকল্পনা

  • ওয়ার্ড পর্যায়ে সকল প্রস্তাব একত্রিত করে সেক্টর ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস করা হবে। যেমন: অবকাঠামো, কৃষি, ¯^v¯’¨, শিক্ষা, খাবার পানি ও স্যানিটেশেন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও যুব সম্পর্কিত বিষয়াবলি। পরিকল্পনা কমিটি প্রস্তাবসমূহ পর্যালোচনা ও সুপারিশের জন্য সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করবে।
  • স্থায়ী কমিটি ওয়ার্ড সভার অগ্রাধিকার তালিকা এবং সম্পদের প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে একটি অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করবে।
  • পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মধ্যে স্কিমগুলোকে বৎসর ওয়ারি প্রদর্শন করতে হবে। প্রথম বৎসরের স্কিমগুলোকে পরিকল্পনার মধ্যে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য ব্যয়সহ উল্লেখ করতে হবে।
  • একটি পরিপূর্ণ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সুপারিশসহ পরিকল্পনা কমিটি ইউনিয়ন উন্নয়ন mgš^q কমিটিতে আলোচনার জন্য অতঃপর ইউনিয়ন পরিষদে অনুমোদনের জন্য পেশ করবে।
  • ইউনিয়ন পরিষদ তার সাধারণ সভায় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদন করবে। পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত স্কিমসমূহ অনুমোদনের সময় ইউনিয়ন পরিষদ ৫টি বিষয় বিবেচনায় রাখবে:
    1. দারিদ্র্য হ্রাসে স্কিমসমূহের অবদান।
    2. স্কিমসমূহের সুবিধাভোগীর সংখ্যা
    3. নারী, শিশু ও অন্যান্য পশ্চাৎপদ গোষ্ঠীর সুফল
    4. অনুকূল সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব
    5. স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারিগরি ও অন্যান্য সক্ষমতা
  • পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে প্রতিবছর ওয়ার্ড সভার সভায় আলোচনার ভিত্তিতে একটি বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

পরিকল্পনা পর্যায় - পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং বার্ষিক পরিকল্পনা জনসমক্ষে প্রকাশ

  • পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং বার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদনের পর তা ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ড, ওয়ার্ডের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান, এলজিএসপি:২-এর ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে প্রকাশ করতে হবে। পরিকল্পনার একটি সফট কপি ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।
  • পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং বার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদনের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করার জন্য ওয়ার্ড কমিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে সভার আয়োজন করবে।
  • পরিকল্পনার একটি কপি উপজেলা পরিষদে প্রেরণ করতে হবে যাতে উপজেলার পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণের সময় তা সহায়ক হতে পারে।

নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে এলজিএসপি:২-এর অর্থ ব্যয় করা যাবে না

  1. ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য কিংবা কর্মীদের বেতন, মজুরি কিংবা অন্য কোনো সুবিধা দেওয়া।
  2. ক্ষুদ্র অর্থায়নসহ কোনো অর্থনৈতিক সেবা যেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসার উদ্যোগে ঋণ সরবরাহ করা হয়।
  3. এমন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না, যার নেতিবাচক পরিবেশগত/সামাজিক প্রভাব আছে।
  4. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত কোনো প্রকল্পে বিবিজি/পিবিজি তহবিল থেকে অর্থায়ন করা যাবে না।
  5. ইউনিয়ন পরিষদের অবকাঠামো, দেওয়াল নির্মাণ, আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত কোনো প্রকল্পে বিবিজি/পিবিজি তহবিল থেকে অর্থায়ন করা যাবে না।

মডিউল-৩ বাজেট প্রণয়ন ও স্কিম বাস্তবায়ন

১. বাজেট প্রণয়ন

বাজেট স্থানীয় সরকার (ইউপি) আইন ২০০৯-এর ধারা ৫৭

1. প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ প্রতি অর্থ বৎসর শুরু হওয়ার অন্যূন ৬০ (ষাট) দিন পূর্বে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ওয়ার্ড সভা হতে প্রাপ্ত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উক্ত অর্থ বৎসরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় বিবরণী m¤^wjZ একটি বাজেট প্রণয়ন করবে। 2. ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি এবং স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠান করে বাজেট পেশ করবে এবং পরিষদের পরবর্তী সভায় পাসকৃত বাজেটের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারেরর নিকট প্রেরণ করবে। 3. কোনো ইউনিয়ন পরিষদ অর্থ বৎসর শুরু হওয়ার পূর্বে উক্ত বাজেট প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের একটি বিবরণী প্রস্তুত ও প্রত্যয়ন করবে এবং এরূপ প্রত্যয়নকৃত বিবরণী ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদিত বাজেট বলে গণ্য হবে। 4. উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাজেটের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বাজেটে কোনো ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে পরিষদকে অবহিত করবেন এবং অনুরূপভাবে প্রণীত বাজেট ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট বলে গণ্য হবে। 5. কোনো অর্থ বৎসর শেষ হওয়ার পূর্বে যে কোনো সময় উক্ত বৎসরের জন্য প্রয়োজন হলে ইউনিয়ন পরিষদ সংশোধিত বাজেট প্রণয়ন করে বাজেটের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করবে এবং উক্ত সংশোধিত বাজেটের ক্ষেত্রেও (৪)- এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে। 6. ইউনিয়ন পরিষদ দায়িত্বভার গ্রহণের পর অর্থ বৎসরের অবশিষ্ট সময়ের জন্য বাজেট প্রণয়ন করতে পারবে এবং উক্ত বাজেটের ক্ষেত্রেও এ বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।

ইউনিয়ন পরিষদের আয়ের উৎস

  • ইউপি কর্তৃক ধার্যকৃত সকল কর, রেট, ফিস
  • ইউপির সকল প্রকার ভাড়া ও মুনাফা
  • ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোনো সংস্থা থেকে প্রাপ্তি
  • ট্রাস্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ
  • ইউপির যে কোনো বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয়
  • ইউপির সম্পদ বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ
  • ইউপির অধীনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সকল আয়ের উৎস থেকে আগত অর্থ
  • সরকার ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অনুদান ইত্যাদি।

ইউনিয়ন পরিষদের ব্যয়ের খাত

  • সংস্থাপন ব্যয়ঃ (ক) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সম্মানী ভাতা (খ) ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা (বছরে ২ টি উৎসব ভাতা সহ)
  • কর আদায় বাবদ খরচ
  • আনুষাঙ্গিক খরচ 
    • ষ্টেশনারী
    • বিবিধ
  • উন্ন্‌য়ন খাতে ব্যয়
  • অন্যান্য ব্যয়
    • নিরীক্ষা ব্যয়
    • অন্যান্য ব্যয়

উন্মুক্ত বাজেট সভা

প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ প্রতি বছর মে মাসের শেষ দিকে একটি উন্মুক্ত বাজেট সভার আয়োজন করবে। ওয়ার্ড পর্যায়ে এপ্রিল মাসের মধ্যে ওয়ার্ড সভায় জনঅংশগ্রহণের ভিত্তিতে পরিকল্পনা ও বাজেট প্রস্তুত সম্পন্ন করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভার পূর্বে নিম্নে বর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে :

  • ওয়ার্ড সভা থেকে প্রাপ্ত পরিকল্পনা বিবেচনায় রেখে একটি খসড়া বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।
  • মাইকিং, ঢোল, আমন্ত্রণপত্র, লিফলেট, নোটিশ বোর্ড ইত্যাদির মাধ্যমে উন্মুক্ত বাজেট সভার ব্যাপক প্রচার করতে হবে।
  • ইউনিয়ন পরিষদের অফিস প্রাঙ্গণ, স্কুল প্রাঙ্গণ অথবা খেলার মাঠের মতো উন্মুক্ত জায়গায় উন্মুক্ত বাজেট সভার আয়োজন করতে হবে।
  • অংশগ্রহণকারীদের জন্য বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • পূর্ববর্তী বাজেটের মধ্যে বাজেট সভার খরচের সংস্থান রাখতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদকে অংশগ্রহণকারীদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত রাখতে হবে যাতে বাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত এবং পূর্ণাঙ্গ আলোচনা সম্ভব হয়।
  • স্থানীয় সংবাদপত্র ও অন্যান্য প্রচার মাধ্যমকে বাজেট অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
  • অনুমোদিত বাজেট পহেলা জুনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করতে হবে।

বাজেট সভার কর্মসূচি

  • বাজেট সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করবেন।
  • প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিগণ সভায় আসন গ্রহণ করবেন।
  • কোরআন, গীতা, বাইবেল প্রভৃতি ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হবে।
  • চেয়ারম্যান ¯^vMZ ভাষণ দেবেন।
  • অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বাজেটের খসড়া কপি বিতরণ করা হবে।
  • ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গত বছরের প্রকৃত আয়-ব্যয়, বর্তমান বছরের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং আগামী বছরের প্রস্তাবিত খসড়া বাজেট উপস্থাপন করবেন।
  • ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাজেট অধিবেশনে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করবেন।
  • অংশগ্রহণকারীদের বাজেটের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হবে। তারা বিগত বছরের বাজেট বাস্তবায়নের উপরও প্রশ্ন করতে পারে।
  • আলোচনা-পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন ইত্যাদি করা হবে।
  • অংশগ্রহণকারীদেরকে বাজেট অধিবেশন সম্পর্কে তাদের অনুভূতি প্রকাশের জন্য আহ্বান জানানো হবে।
  • অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
  • মেধাবী ছাত্র, উদ্ভাবনী কৃষক, সর্বাধিক বৃক্ষরোপণকারী, সর্বাধিক করদাতা, নিয়মিত করদাতাকে প্রণোদনা অথবা পুরস্কার প্রদান।
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়।
  • সভাপতি কর্তৃক ধন্যবাদ জ্ঞাপন।

বাজেট প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়সমূহ

  • বাজেট অবশ্যই সরকার নির্ধারিত ফরমে তৈরি করতে হবে।
  • পূর্ববর্তী বছরসমূহের আয় ও ব্যয়ের ধারা বিবেচনায় রেখে বাজেট তৈরি করা হবে।
  • বাজেট এমনভাবে করতে হবে যাতে অর্থ বছর শেষে কিছু অর্থ উদ্বৃত থাকে।
  • বাজেট তৈরি করার সময় বিবেচনায় রাখতে হবে যেন, নারীর ক্ষমতায়ন শিশুদের ও যুবকদের কল্যাণ, প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধগণের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ থাকে।
  • স্কিম ভিত্তিক বা সেক্টর ভিত্তিক বাজেট প্রস্তুত করা হবে।
  • প্রদর্শিত আয়ের অধিক ব্যয় বাজেটে পরিদর্শিত হবে না। যদি কোনো কারণে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি পরিদর্শিত হয়, তাহলে তার কারণ বলতে হবে। অত:পর আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।
  • প্রতি ৪ মাস অন্তর একবার বাজেট পর্যালোচনা করতে হবে।

ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বাজেট অনুমোদন

ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট অনুমোদনের সভা হবে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সভা। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশেষ সভা হিসেবে এ সভা আহ্বান করবেন। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের নিকট সভার নোটিশের সাথে খসড়া বাজেট প্রেরণ করা হবে। সভায় খসড়া বাজেটের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে বাজেট অনুমোদন হবে। অনুমোদিত বাজেট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পর্যালোচনা ও মতামতের জন্য প্রেরণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাজেটের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বাজেটে কোনো ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে পরিষদকে অবহিত করবে যা ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট বলে গণ্য হবে। কোনো ইউনিয়ন পরিষদ অর্থ বছর শুরু হবার পূর্বে বাজেট প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের একটি বিবরণী প্রস্তুত ও প্রত্যয়ন করবে প্রত্যয়নকৃত বিবরণী ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদিত বাজেট বলে গণ্য হবে। অনুমোদিত বাজেট ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ড ও ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হবে।

বাজেট বাস্তবায়ন ও মনিটরিং

নিচের একটি চিত্রে পরিকল্পনা ও বাজেট প্রস্তুত, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে। বাজেটের সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করে বাজেট বাস্তবায়ন মনিটরিং-এর উপর। প্রতি ছয় মাস অন্তর কমপক্ষে একবার বাজেট বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করতে হবে ওয়ার্ড সভার মাধ্যমে। ওয়ার্ড সভায় বাজেট বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে হবে। প্রয়োজন হলে অনুমোদিত বাজেট পুনর্বিবেচনা করা হবে। এছাড়া অর্থ ও অডিট বিষয়ক স্থায়ী কমিটি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে সভায় বাজেট বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোচনা করবে।  

বাজেটের নমুনা ছক

অনুশীলন

সাভার ইউনিয়ন পরিষদের পরবর্তী অর্থ-বছরের জন্য খসড়া বাজেট তৈরি করা হয়েছে। এখন বাজেটের ছক ব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদের জন্য নিম্নলিখিত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী অর্থ-বছরের জন্য একটি বাজেট তৈরি করুন।

চলতি অর্থ-বছরের প্রাপ্তি

কর আদায়

৮.০৮,১৫১.২০

সম্পদ থেকে আয়

৪,০০,০০০.০০

সংস্থাপন কাজে সরকারি অনুদান

১,৬৬,২০০.০০

উন্নয়নমূলক কাজে সরকারি অনুদান

২,১৮,০৭৪.০০

প্রারম্ভিক জের

২৬,৪২০.০০

পরবর্তী অর্থ-বছরের প্রত্যাশিত প্রাপ্তি

কর আদায় (নিজস্ব তহবিল )

৭,১৭,২৫৫.২০

ভূমি হস্তান্তর করের ১% (অন্যান্য তহবিল)

৪০,২৯,৮১৫.০০

পরবর্তী অর্থ-বছরের প্রারম্ভিক জের

নগদ জের (নিজস্ব তহবিল)

৫০০.০০

ব্যাংক জের (অন্যান্য তহবিল)

২,৪৩৩.০০

ব্যাংক জের (নিজস্ব তহবিল)

১৫,০০০.০০

পরবর্তী অর্থ-বছরের সম্ভাব্য ব্যয়

স্বাস্থ্য প্রকল্প (অন্যান্য তহবিল)

২,০০,০০০.০০

রাস্তা নির্মাণ (নিজস্ব তহবিল )

৯২,৮৫০.০০

রাস্তা নির্মাণ (অন্যান্য তহবিল )

২২,১৬,৯৮৩.৪৩

চেয়ারম্যান/সদস্যের ভাতা (নিজস্ব তহবিল)

১৮,৪৫০.০০

চেয়ারম্যান/সদস্যের ভাতা (অন্যান্য তহবিল)

১,০০,০০০.০০

সচিব/অন্য কর্মচারীদের বেতন (নিজস্ব তহবিল)

৫২,৩০০.০০

সচিব/অন্য কর্মচারীদের বেতন (অন্যান্য তহবিল)

১,০০,০০০.০০

কর আদায় ব্যয় (অন্যান্য তহবিল)

৩৯,০৬০.০০

অন্যান্য ব্যয় (নিজস্ব তহবিল)

৪,৬২,৭৭২.০০

শিক্ষা কর্মসূচি (অন্যান্য তহবিল)

২১,০০,০০০.০০

সরকারি থোক বরাদ্দ (অন্যান্য তহবিল)

৫,৬৮,৬০০.০০

উন্নয়নমূলক কাজে সরকারি অনুদান

১,৬৬,২০০.০০

ওয়ার্ড সভায় চাহিদাভিত্তিক স্কিমের তালিকা তৈরি ও অগ্রাধিকারকরণ

নিম্নের পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ইউনিয়ন পরিষদসমূহের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার করে স্কিমসমূহ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে:

() থোক বরাদ্দ নির্ধারণ

  • মৌলিক থোক বরাদ্দ বাবদ ২ কিস্তি একসাথে বরাদ্দকৃত এ অর্থের অন্তত ৩০% অর্থ মহিলাদের দ্বারা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত স্কিম বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় করতে হবে;
  • মৌলিক থোক বরাদ্দ (BBG) ও দক্ষতা ভিত্তিক বরাদ্দ (PBG)-Gi সর্বোচ্চ ১০% অর্থ সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজে প্রধানত স্কিম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা, সুরক্ষা ব্যবস্থাসমূহ, হিসাবরক্ষণ, ইউনিয়ন পর্যায়ের তথ্যাদি কম্পিউটারে এন্ট্রি ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া মহিলা উন্নয়ন ফোরামকে সহায়তা প্রদান, প্রশিক্ষণ, পারস্পরিক শিখন এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধি সহায়তায় ব্যয় করা যাবে। ১০% অর্থ উল্লিখিত ক্ষেত্রে ব্যয় না হলে স্কিম বাস্তবায়নে ব্যয় করা যাবে।

() ওয়ার্ড সভায় চাহিদাভিত্তিক স্কিমের তালিকা  অগ্রাধিকারকরণ

  • ওয়ার্ডের ৫% ভোটারের (নারী, পুরুষ, পশ্চাৎপদ, প্রতিবন্ধী) উপস্থিতিতে ওয়ার্ড সভা করতে হবে। সভায় সমগ্র ওয়ার্ডের জনসাধারণের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
  • সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড †g¤^vi এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
  • সভা আয়োজনের পূর্বে সভার তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
  • নারীদের মতামতসমূহ ওয়ার্ড সভায় জানানোর উদ্যোগ নিতে হবে
  • ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা যেতে পারে।
  • অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনার এ ধাপে ওয়ার্ড সভার মাধ্যমে চাহিদাভিত্তিক স্কিমের তালিকা তৈরি ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে।

এলজিএসপিঃ২ এর অর্থ দ্বারা যেসব স্কিম গ্রহণ করা যাবে

যোগাযোগ
  • গ্রামের রাস্তাসমূহ র্নির্মাণ /পুননির্মাণ করা
  • বিদ্যমান রাস্তাসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ করা
  • কালভার্ট নির্মাণ করা
  • ব্রিজ/ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা
  • গ্রামের রাস্তা বা সড়কের উপর পানি নিষ্কাশন ড্রেইন নির্মাণ করা
  • যাত্রী ছাউনি
স্বাস্থ্য
  • গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ
  • স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা, Rb¯^v¯’¨ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা
  • স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য ঔষধ সরবরাহ
  • স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপকরণ সরবরাহ
  • খণ্ডকালীন স্বাস্থ্য কর্মীর বেতন
পানি সরবরাহ
  • বিগত ১০ বছরের বন্যাস্তরের ঊর্ধ্বে স্থানীয় জনগণের জন্য পানি সরবরাহের লক্ষ্যে নলকূপ স্থাপন করা
  • ক্ষুদ্র সমাজভিত্তিক পানি সরবরাহের জন্য পাইপ স্থাপন করা
  • ঝরনার পানি সংগ্রহ করা
  • পানির সংরক্ষণাগার নির্মাণ
শিক্ষা
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ
  • প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসবাবপত্র সরবরাহ
  • শিক্ষা উপকরণ ক্রয়
  • শিক্ষা সচেতনতা প্রচারণা কর্মসূচি
প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা
  • সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি
  • ভূমি ক্ষয় প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে অবকাঠামো নির্মাণ
  • প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
কৃষি এবং বাজার
  • গবাদিপশুর টিকাদান কেন্দ্র নির্মাণ
  • বাজারের টোলঘর বা ছাউনি নির্মাণ
  • সর্বসাধারণের ব্যবহার্য সেচ সুবিধার ব্যবস্থা করা
  • উন্নত চাষাবাদের উপর কারিগরি প্রশিক্ষণ
পয়ঃনিষ্কাশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
  • পয়ঃনিষ্কাশনের সুযোগ সুবিধার জন্য পয়ঃপ্রণালি নির্মাণ
  • পয়ঃনিষ্কাশন সম্পর্কে গণসচেতনতা প্রচার অভিযান পরিচালনা
  • বায়োগ্যাস
মানব সম্পদ উন্নয়ন
  • নারী উন্নয়ন ও নারীদের আত্ম কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষা
  • দুস্থদের জন্য আয়বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষণ
  • দরিদ্র যুবক ও যুব মহিলাদের জন্য দক্ষতাবৃদ্ধি প্রশিক্ষণ
  • দরিদ্র যুবক ও যুব মহিলাদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ
  • ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রের জন্য সহায়তা
  • তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়ন

[/su_spoiler]

এলজিএসপিঃ২ এর অর্থ যেসব ক্ষেত্রে ব্যয় করা যাবে না

  • ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য কিংবা কর্মীদের বেতন, মজুরি কিংবা অন্য কোন সুবিধা দেওয়া।
  • ক্ষুদ্র অর্থায়ন সহ কোন অর্থনৈতিক সেবা যেখানে ক্ষুদ্র ব্যবসায় উদ্যোগে ঋণ সরবরাহ করা হয়।
  • এমন কোন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না, যার নেতিবাচক পরিবেশগত/সামাজিক প্রভাব আছে।
  • ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত কোন প্রকল্পে বিবিজি/পিবিজি তহবিল থেকে অর্থায়ন করা যাবে না।
  • ইউনিয়ন পরিষদ অবকাঠামো, দেয়াল নির্মাণ, আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত কোন প্রকল্পে বিবিজি/ পিবিজি তহবিল থেকে অর্থায়ন করা যাবে না।

সমস্যা সমাধান ও চাহিদা পূরণের জন্য করণীয় বিষয়ে প্রাথমিক তালিকা তৈরির ফরম (ফরম-১)

ক্রম সমস্যা/চাহিদা সমস্যা সমাধান/ চাহিদা পূরণের জন্য করণীয় বা প্রসতাবিত স্কিম প্রসতাবকারী
.      
.      

বাজেটের সাথে সংগতি রেখে স্কিম প্রস্তাবনাসমূহ গ্রহণ করতে হবে। তাই তালিকাভুক্ত কাজ বা স্কিমগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজাতে হবে। অগ্রাধিকারভিত্তিক কাজ বা স্কিমগুলোর মধ্য থেকে কোন স্কিমগুলো প্রথম বছর, কোনগুলো দ্বিতীয় বছর এভাবে কোনগুলো তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম বছরে বাস্তবায়নকরা হবে তা নির্ধারণ করা হবে।

অগ্রাধিকারভিত্তিক স্কিমের তালিকা তৈরির ফরম (ফরম-২)

ক্রম প্রথম বছর দ্বিতীয় বছর তৃতীয় বছর চতুর্থ বছর পঞ্চম বছর
.          
.          

ওয়ার্ড পর্যায়ে স্কিমভিত্তিক সংক্ষিপ্ত বিবরণী তৈরি

সভা শেষে ওয়ার্ড ওয়ার্ড/WC প্রত্যেক অগ্রাধিকার স্কিমের প্রাথমিক স্কিম বিবরণী প্রস্তুত করে ইউনিয়ন পরিষদে পাঠাবে। এই কাজের জন্য ওয়ার্ড কমিটি সর্বোচ্চ ২সপ্তাহ সময় পাবে। প্রাথমিক স্কিম বিবরণীতে যে সকল তথ্য থাকতে হবে তা নিম্নরূপ:

  • ক) স্কিমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী
  • খ) যদি সম্ভব হয়, স্কিমের প্রাথমিক নকশা
  • গ) সম্ভাব্য ব্যয়ের খসড়া
  • ঘ) দ্বিতীয় এলজিএসপি’র পরিবেশ ও সামাজিক যাচাই ফরম
  • ঙ) স্থানীয় জনসাধারণের অনুদানের পরিমাণ (যদি থাকে)
  • চ) স্কিমটি কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তার বিবরণ
  • ছ) বাস্তবায়ন শেষে স্কিমটি কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং চালু রাখা হবে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

স্কিমের সংক্ষিপ্ত বিবরণী

প্রাথমিক স্কিম বিবরণী প্রস্তুত করার জন্য প্রকল্পের অবস্থান পরিদর্শন করতে হবে এবং উপকারভোগী জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে স্কিম বিবরণী/বৃত্তান্ত পূরণ করতে হবে। সব বিবরণী ও পূরণকৃত যাচাই ছকসমূহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ সচিবের নিকট সংরক্ষণের জন্য দাখিল করতে হবে।

এই সংক্ষিপ্ত বিবরণীর সাথে সংযুক্তি হিসেবে যে সকল তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে পাঠাতে হবে তা নিচে দেয়া হলো:

  1. সমস্যা/চাহিদার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত স্কিমের তালিকা
  2. অগ্রাধিকারভিত্তিক স্কিমের তালিকা
  3. পরবর্তী বা বিবেচ্য অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত স্কিমসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণী

স্কিম বাছাই এ বিবেচ্য বিষয়

স্কিম পর্যালোচনা ফরম

(প্লানিং কমিটি এই ফরমটি পূরণ করবেন এবং ওয়ার্ড কমিটি কর্তৃক প্রেরিত স্কিম বিবরণী ফরমের সাথে এই ফরমটি সংযুক্ত করবেন)

ইউনিয়ন উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির (ইউডিসিসি) সম্পৃক্ততা

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এপ্রিল/মে মাসের যে কোন সময় ইউনিয়ন উন্নয়ন mgš^q কমিটির (ইউডিসিসি) সভা আহ্বান করবেন। সভাটিতে ইউডিসিসি’র সকল সদস্য, ওয়ার্ড কমিটি ও স্কিম সুপারভিশন কমিটির প্রতিনিধিগণ এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, কৃষি শ্রমিক, জেলে, মহিলাদের সমবায় সমিতি ইত্যাদির প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। সভার তারিখ, সময়, স্থান উল্লেখ করে সভা অনুষ্ঠানের অন্ততঃ এক সপ্তাহ পূর্বে উম্মুক্ত প্রচারণার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউডিসিসি সভায় সভাপতিত্ব করবেন। ইউপি সচিব সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করবেন। এই কার্যবিবরণী পরবর্তীতে কোন ব্যক্তি দেখতে চাইলে তা প্রদর্শন করতে হবে। এই সভায় ইউনিয়ন পরিকল্পনা কমিটি mgwš^Z উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। এই পরিকল্পনা স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং পরিকল্পনা কমিটির মতামতসহ ওয়ার্ড সভা কর্তৃক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত স্কিমের mgš^‡q প্রণীত হবে। ইউডিসিসি’র সভায় উপস্থিত সদস্যগণ পঞ্চবার্ষিক ও বার্ষিক পরিকল্পনায় তাদের মতামত প্রদান করবেন এবং সুপারিশসহ পরিকল্পনাসমূহ অনুমোদনের জন্য ইউপি’তে প্রেরণ করবেন।

ওয়ার্ড অনুযায়ী অগ্রাধিকারভিত্তিক বাস্তবায়নযোগ্য স্কিমের তালিকা তৈরির নমুনা ছক (টেবিল-১)

ওয়ার্ড নাম্বার অগ্রাধিকারভিত্তিক নির্বাচিত স্কিমের নাম
প্রথম বছর দ্বিতীয় বছর তৃতীয় বছর চতুর্থ বছর পঞ্চম বছর
১.২.        
১.২.        

বাতিলকৃত (যদি থাকে) স্কিমের তালিকা (টেবিল-২)

ক্রম স্কিমের নাম যে ওয়ার্ড থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে বাতিলের কারণ
১.      
২.      

পরবর্তী অর্থবছরের (বিবেচ্য) বাস্তবায়নযোগ্য স্কিমের পরিকল্পনা ও বাজেট তৈরির ফরম (টেবিল-৩)

ক্রম ওয়ার্ড নাম্বার স্কিমের নাম স্কিম বাস্তবায়ন পদ্ধতি মোট উপকার ভোগী ব্যয় (টাকা) সময়কাল সভাপতি
বরাদ্দ জনগণের অনুদান মোট পুরুষ এহিলা
                   
                 
                   
                 

ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরীর ফ্লো চার্ট

মডিউল-৪ স্কিম বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান প্রক্রিয়া

স্কিম বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান

স্কিম বাস্তবয়নের পদক্ষেপ

পদক্ষেপ

ভূমিকা গ্রহণকারী উদ্দেশ্য

১. স্কিম বাস্তবায়ন প্রস্তুতি সভা

ওয়ার্ড কমিটি
  • ওয়ার্ড কমিটি এবং উপকারভোগীর সঙ্গে স্কিম বাস্তবায়নের জন্য প্রারম্ভিক আলোচনা ও দায়িত্ব বণ্টন করা

২. স্কিমভিত্তিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন

ওয়ার্ড কমিটি / স্কিম সুপারভিশন কমিটি
  • স্কিমভিত্তিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যেখানে মাস অনুযায়ী কার্যক্রম উল্লেখ থাকবে (নমুনা ফরম-১)

৩. ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদন

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি
  • টেন্ডার বা ক্রয় সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, দরপত্র মূল্যায়ন এবং ইউনিয়ন পরিষদকে চুক্তি করতে এবং অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করতে সহায়তা করা

৪. কারিগরি এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষণ

ওয়ার্ড কমিটি স্কিম সুপারভিশন কমিটি
  • কাজের মান নিশ্চিত করা
  • স্কিম বাস্তবায়নের সময় প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করা

৫. পাওনা পরিশোধের প্রত্যয়নপত্র

স্কিম সুপারভিশন কমিটি
  • স্কিম বাস্তবায়ন শেষে বিল পরিশোধের জন্য প্রত্যয়নপত্র দেয়া

৬. পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ

ওয়ার্ড কমিটি স্কিম সুপারভিশন কমিটিজনগণ
  • পরবর্তী ধাপে অর্জিত অবকাঠামো ও সেবাসমূহ সঠিকভাবে পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়া

৭. প্রতিবেদন তৈরি

ওয়ার্ড কমিটি স্কিম সুপারভিশন কমিটি
  • সরাসরি উপকারভোগীদের নিয়ে ওয়ার্ড কমিটি প্রতি মাসে স্কিম বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত মাসিক অগ্রগতির প্রতিবেদন তৈরি করবেন (নমুনা ফরম-২)
  • স্কিম বাস্তবায়ন শেষে স্কিম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করবেন (নমুনা ফরম-৩)

এছাড়াও

  • ইউনিয়ন পরিষদ ত্রৈমাসিক সভার আয়োজন করবে এবং সেখানে স্কিম বাস্তবায়নের অগ্রগতি উপস্থাপন করবে।
  • একইভাবে ওয়ার্ড পর্যায়ে ষান্মাসিক সভা হবে এবং স্কিম বাস্তবায়নের অগ্রগতি জনগণকে জানাতে হবে। এই সভার কার্যবিবরণী ষান্মাসিক প্রতিবেদনে সংযুক্ত করতে হবে।

স্কিম বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনা

এলজিএসপিঃ২ প্রকল্পের অধীনে স্কিম বাস্তবায়নের জন্য একটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ওয়ার্ড কমিটি এবং একটি স্কিম তত্ত্বাবধান কমিটি নামে ২টি কমিটি থাকবে। ওয়ার্ডের জনসাধারণ ¯^”QZvi ভিত্তিতে কমিটির সদস্যদের মনোনীত করবেন। একই ব্যক্তি একই সাথে ওয়ার্ড কমিটি এবং তত্ত্বাবধান কমিটির সদস্য হতে পারবেন না। ইউনিয়ন পরিষদের ষ্ট্যান্ডিং কমিটিগুলোও স্কিম বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান করবে।

  • ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রকাশ্য সভা অনুষ্ঠান করে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে হবে ।

ওয়ার্ড কমিটি (ডব্লিউসি)

  • কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে ৭ জন, কমপক্ষে ২ জন মহিলা সদস্য হবেন ।
  • ইউপি সদস্য দুই জন। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য বা সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য হবেন কমিটির আহবায়ক।
  • স্কুল শিক্ষক একজন।
  • স্থানীয় সমাজসেবক দুইজন (একজন নারী ও একজন পুরুষ)।
  • এনজিও / সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এক জন।
  • মুক্তিযোদ্ধা/ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এক জন (পাওয়া না গেলে একজন সাধারণ নাগরিক)।
  • কোন ওয়ার্ড কমিটির সদস্য স্কিম তত্ত্বাবধান কমিটির সদস্য হতে পারবেন না।
  • সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য তাঁর নির্বাচনী এলাকায় পালাক্রমে ৩টি ওয়ার্ড কমিটির আহবায়ক হবেন।
  • ওয়ার্ড সদস্যবৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রকাশ্য সভা থেকে অন্যান্য সদস্যদের এলাকার জনসাধারণ মনোনীত করবেন।
  • কোন ব্যক্তি একই সাথে একটির বেশি ওয়ার্ড কমিটির আহবায়ক/সভাপতি হতে পারবেন না।
  • সদস্যদের মধ্য থেকে কমিটি কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

ওয়ার্ড কমিটির কাজ ও দায়িত্বসমূহ

  • ওয়ার্ড সভার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন কার্যক্রম এবং জনঅংশগ্রহণের মাধ্যমে উক্ত পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা।
  • অনুমোদিত স্কিম বাস্তবায়ন করা।
  • সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে থোক বরাদ্দের আওতায় ঠিকাদার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন স্কিমগুলো নিয়মিত তত্ত্বাবধান করা।
  • শ্রমঘণ কাজের ক্ষেত্রে স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ নিশ্চিত করা।
  • সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অথবা দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে মালামাল ক্রয় করা।
  • স্কিমের সামজিক ও পরিবেশগত প্রভাব যাচাইকরণ।
  • পরিবেশ এবং সামাজিক বাছাইকরন (ইএসএমএফ) এবং ইএসএমএফের রিভিউ ফর্ম তৈরী।
  • অপর একটি ক্রয় কমিটির দরকার আছে কিনা সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
  • সরবরাহকারী/যোগানদাতার নিকট থেকে প্রদত্ত ক্রয় কর্মাদেশ অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রী/সেবাসমূহ বুঝে নেওয়া।
  • সকল ক্রয়ের বিল, ভাউচার, মাষ্টাররোল ইত্যাদি সংরক্ষণ করা এবং ইউনিয়ন পরিষদকে অডিট এবং অন্যান্য কার্যকক্রমের জন্য ঐসকল